করোনা মহামারিতে কুড়িগ্রামে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। এসব ঘটনার বেশিরভাগই মামলা আকারে লিপিবদ্ধ হচ্ছে না। দুর্গম ও দারিদ্র্যপীড়িত হওয়ায় এই জেলায় এনজিও বা সচেতনতা কার্যক্রমও সীমিত। তাই নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশ আর টাকার বিনিময়ে মীমাংসায় আগ্রহ বেশি জনপ্রতিনিধিদের।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশি বৃদ্ধ নরেশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে। হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। তবে এ ঘটনায় মামলা করতে দেয়নি গ্রামের প্রভাবশালীরা। শালিসের নামে ধর্ষকের সাথে মিমাংসা হয় ৬০ হাজার টাকায়।
মাস তিনেক আগে চিলমারীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। একই একই ঘটনা ঘটে উলিপুর উপজেলায় এক কলেজছাত্রীর সাথেও। এছাড়া ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়ারও ঘটনাও বেড়েছে। পুলিশের হিসাবে, গত ২১ মাসে জেলায় ধর্ষণের মামলা ১৩৬টি। অপরদিকে একই সময়ে জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ২৪৫ নারী ও শিশুর নাম তালিকাভুক্ত। গড়ে প্রতিমাসে ১১টি ধর্ষণের বিপরীতে মামলা হয়েছে ৬টি। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনায় উদ্বেগ জানালেন কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী মাহাবুবা আকতার জাহান চুমকি, উদ্বেগ জানালেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরাও।
পশ্চাৎপদ জনপদ এবং দারিদ্র্যের কারণেই নদীবেষ্টিত এ জেলাটিতে ধর্ষণ সামাজিক ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করেন তারা।
Leave a reply