রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জোরদারে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই সাথে সীমান্তে নতুন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক বাংলাদেশ। তবে এই মুহুর্তে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীর আস্থা ফেরানোকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদারের সুপারিশ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। যমুনা টেলিভিশনের সাথে আলাপে এসব কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যার পর এখনও থমথমে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলো। স্থানীয়দের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও। তাই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। অনেকের শঙ্কা, ক্যাম্পের শীর্ষ নেতার হত্যাকাণ্ড পালটে দিতে পারে অনেক সমীকরণ।
তবে চলমান প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানালেন নীতিনির্ধারকরা। এরই মধ্যে মহিবুল্লাহর পরিবার ও অনুসারীদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারপরও রাতে নিরাপত্তা আরও জোরদারের তাগিদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানালেন, কোনোভাবেই সংগঠিত হয়ে কোনো অপরাধ করতে দেয়া হবে না।
এরইমধ্যে অপরাধমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে কিছু রোহিঙ্গার সম্পৃক্ততা পেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এমন অবস্থায় মিয়ানমার বা ভারত থেকে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ।
তবে বালাদেশে যে রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ সংঘাতে জড়াতে পারে, ৪ বছর আগেই এমন সতর্কবার্তা দিয়েছিলো জাতিসংঘ।
Leave a reply