রেমিট্যান্সের আশায় একটু একটু করে ডলারের দর বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানি বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত ডলারের জোগান দিলেও কমেছে রেমিট্যান্স। এদিকে রফতানি বাণিজ্যে সহায়তা ও রেমিট্যান্স বাড়াতে বিদেশি মুদ্রার পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকতেও বাড়াচ্ছে ডলারের দাম। পাশাপাশি বাজারে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বৃহস্পতিবার ডলার প্রতি দর বেড়েছে ১০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর ডলারের দর বাড়ছে। গত ২৯ জুলাই দাম ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা এবং ২ আগস্ট থেকে বাড়তে শুরু করে। ৭ অক্টোবর দর বেড়ে ৮৫ টাকা ৬০ পয়সায় উন্নীত হয়।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমদানি রফতানি বাড়ার কারণে ডলার সরবরাহ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের ১১২ কোটি টাকার ডলার বিক্রি আর রিজার্ভ রয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গত অর্থবছরে কোনো ডলার বিক্রি করতে হয়নি, উল্টো কিনেছে তারা। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী রেমিট্যান্স ৫৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম।
আর এর কারণ হিসবে মনে করা হচ্ছে, প্রবাসীদের বিদেশে ফিরে যেতে না পারা। আগে যারা বিদেশে ছিলেন, তারা অনেকেই এখন দেশে। তবে তাদের বিদেশে যাওয়া শুরু হয়েছে। দুই-তিন মাসেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
Leave a reply