অবৈধ সম্পদ ও তথ্য গোপনের মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড বাবরের

|

আদালতে নেয়ার সময় লুৎফুজ্জামান বাবর।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুদকের করা মামলায় বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত তথ্য গোপনের জন্য ৩ বছর এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য আরও ৫ বছরের সাজা দেয়। এরইমধ্যে কারাগারে থাকায় এই পরিমাণ সাজা খাটা হয়ে গেলেও আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হন বিএনপি জোট সরকারের আলোচিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

মামলার রায় ঘোষণার দিন সকালে আদালতে আনা হয় বাবরকে। বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম তথ্য গোপনের জন্য ৩ বছর এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনে দায়ে আরও ৫ বছরের সাজা দেন তাকে।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ৬ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে আছে এই টাকাটা কার জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এর কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
এই টাকা দুদক ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে আনতে পেরেছে, এই টাকা বর্তমানে প্রাইম ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকে আছে। যেটা দুদক বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।

এদিকে গ্রেফতারের পর থেকেই টানা কারাগারে থাকায় এরইমধ্যে সাজা খাটা হয়ে গেছে বলে মনে করেন আসামীপক্ষের আইনজীবী। এনিয়ে আপিলের কথা জানিয়েছেন তিনি।

বাবরের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবর আদালতকে জানিয়েছেন যে; এই টাকাটা কার টাকা কিভাবে আমার অ্যাকাউন্টে এসেছে এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নাই। আমার মক্কেল ২০০৭ সাল থেকে জেলে আছেন, যে শাস্তি তাকে দেয়া হয়েছে এটা তার সাজা থেকে বাদ যাবে। সে হিসেবে তার শাস্তি আর থাকে না সার্ভড আউট হয়ে যায়। এ সাপেক্ষে এ কনভিকশনটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করি। এবং এ কনভিকশনের অ্যাগেইন্সটে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

এই মামলা ছাড়াও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরকে ফাঁসির দন্ড দিয়েছে বিচারিক আদালত। সেই মামলাগুলোর ডেথ রেফারেন্স আপিল শুনানির পেপার বুক প্রস্তুত হলেও এখনও বেঞ্চ নির্ধারিত হয়নি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply