ফরম্যাটটা টি টোয়েন্টি বলেই ছোট- বড় দলের মধ্যে ব্যবধানটাও কম। অঘটন এখানে স্বাভাবিক ঘটনা। তিনটি ডট বল ও দুটি উইকেট পতনে এক ওভারেই পাল্টে যেতে পারে গোতা ম্যাচের গতিপ্রকৃতি। অনিশ্চয়তায় ভরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ডকেও তাই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। এই দলের কারা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারেন বাংলাদেশকে, সেদিকে তাই রাখতে হবে সতর্ক দৃষ্টি।
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসরেই অভিষেক হয় স্কটল্যান্ডের। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা অনিয়মিত হলেও টি-টোয়েন্টির ছ’টি আসরেই দেখা গেছে তাদের। তবে তাদের জয় কেবল একটি। ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপের মঞ্চে স্কটল্যান্ডের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। জয় না পাওয়ার আক্ষেপ ঘোচাতে শতভাগ তৈরি কাইল কোয়েটজারের স্কটল্যান্ড।
এই দলের অধিনায়ক কোয়েটজার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বেশ অভিজ্ঞ। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬৩ ম্যাচ খেলে ১২০.৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১ হাজার ১১৪ রান।
ওমানের উইকেট স্পিনিং হতে পারে। তাইতো বেশিরভাগ দলই এবার প্রাধান্য দিচ্ছে স্পিনারদের। স্কটল্যান্ড ও তার ব্যতিক্রম নয়। স্কটিশ লেগ স্পিনার ক্রিস গ্রেভস তার বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও পারদর্শী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১টি ম্যাচ খেললেও সেই ম্যাচে তার ইকোনমি ছিল মাত্র ৪ দশমিক ৮৫।
আরও একজন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার আছে স্কটল্যান্ডে, তিনি হামজা তাহির । টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২০১৮ সাল থেকে ১২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২০টি উইকেট। অপরদিকে অলরাউন্ডার মার্ক ওয়াট ৩৯ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৪৯ উইকেট।
স্কটল্যান্ডের আরও একটি শক্তির নাম মাইকেল লিস্ক। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে পারদর্শী এই অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২২টি উইকেট।
তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশেলে দারুণ এই দলটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে বাংলাদেশকে।
Leave a reply