বিআরটিসির ২০ বছর আগে কেনা ৫০টি ভলভো বাসের ৪৯টিই ভাঙারি হিসেবে বেঁচে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন অকেজো পড়ে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত সরকারি সংস্থাটির। অকেজো বাসগুলো সারাতে দফায় দফায় উদ্যোগ নেয়া হলেও ব্যয়বহুল হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বাস কেনার পর সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণে শিথিলতার কারণেই কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যায়নি।
বিআরটিসির মিরপুর ডিপোতে এবার একটিমাত্র ভলভো বাসের দেখা মিললো, তারও অবস্থা একেবারেই করুণ। জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের স্টাফদের আনা-নেওয়ার কাজে বাসটি ব্যবহৃত হলেও আপাতত অকেজো সেটি।
বছর বিশেক আগে সুইডেন থেকে ৭০ কোটি টাকায় কেনা হয় আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৫০টি ভলভো বাস। সুইডিশ প্রতিষ্ঠানটির হিসেবে টানা ১২ বছর সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও বিআরটিসির দাবি ওই বাসগুলো রাস্তায় ৭-৮ বছর চলেছে। একে একে বাসের যন্ত্রাংশগুলো অকেজো হতে শুরু করলে তা মেরামতের উদ্যোগও নিয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু দেশে ভলভোর যন্ত্রাংশ দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় সে প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানালেন, সম্প্রতি অকেজো ৪৯টি ভলভো বাস ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছে বিআরটিসি।
ভাঙারি হিসেবে বিক্রি হওয়া বিআরটিসির ভলভো বাসগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার জন্য গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক দায়ী করলেন কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার অভাবকে। তবে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ভবিষ্যতে নতুন বাস কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
Leave a reply