চলনবিল এলাকায় অবাধে চলছে শামুক নিধন। শামুক নিধনের ফলে মাছের পোনা খাবার পাচ্ছে না। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে নানা জাতের দেশি মাছ। স্থানীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
শামুক প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এর ডিম মাছের পোনার খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, ধানগাছের শেকড় মজবুত করা ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে পানিকে দূষণ মুক্ত রাখতেও শামুক কাজ করে।
কিন্তু চলনবিলে এখন চলছে নির্বিচারে শামুক নিধন। এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। চলনবিলের বিস্তীর্ণ জলাভূমি থেকে প্রতিদিন শত শত বস্তা শামুক উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব শামুক পাইকাররা দক্ষিণাঞ্চলের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকার চিংড়ি ঘেরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, শামুক নিধনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে। শামুক উত্তোলনকারীদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
তবে প্রশাসন বলছে, তারা এবিষয়ে ফলপ্রসু উদ্যোগ নেবেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে শামুক নিধনকারীদের বিকল্প কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
Leave a reply