স্কুলের বেতন দিতে না পারায় দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিয়েছিল স্কুল। মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে দেয়া হচ্ছিল না ভারতের কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নড়ের ছাত্রী গ্রীষ্মা নায়ককে।
জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা দিতে পারবে না এই কষ্টে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় গ্রীষ্মা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাবা নরসিংহমূর্তি এবং মা পদ্মভাতাম্মা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তাদের মেয়েকে যেভাবেই হোক এই পরীক্ষায় বসাবেন। নরসিংহমূর্তি পেশায় কৃষক। পরিস্থিতির চাপে পড়েই মেয়ের স্কুলের বেতন দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু মেয়ের আত্মহত্যার চেষ্টা বিচলিত করে তাদের।
তারা যোগাযোগ করেন ডেপুটি ডিরেক্টর ফর পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (ডিডিপিআই)’র সাথে। পুরো বিষয়টি শুনে উদ্যোগ নেন তিনি। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী সুরেশ কুমারের কাছে পৌঁছায়। ঘটনাচক্রে, রাজ্য জুড়ে আরও অনেক এ রকম অভিযোগ আসতে শুরু করে। ফলে সমস্যাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা শুরু হয়।
অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী নিজে গ্রীষ্মার বাড়িতে যান। তাকে পরীক্ষায় বসানোর ব্যবস্থা করেন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় বোর্ডের পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে গ্রীষ্মা।
Leave a reply