ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লটারি জালিয়াতি করে কাজ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

নিয়মমাফিক কাজ দেননি ঠিকাদারদের। বরং গোপন লটারির মাধ্যমে নিজের পছন্দের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। এমন অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে রোববার (১৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকৌশলীর সঙ্গে ঠিকাদারদের বাদানুবাদ হয়। পরবর্তীতে ঠিকাদারদের তোপের মুখে ওই তিন কাজের লটারি বাতিলের ঘোষণা দেন প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির আওতাধীন বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের জন্য ৩৬টি দরপত্র আহ্বান করা হয়। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় এলজিইডির সভাকক্ষে দরপত্রে অংশ নেওয়া সকল ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে প্রতিটি কাজের জন্য লটারি হওয়ার কথা ছিল। তবে ৩৩টি কাজ বাকি রেখে বেশি মূল্যের ৩টি কাজের লটারি কম্পিউটার অপারেটর তরিকুল ইসলামকে নিয়ে আগেই গোপন করে ফেলেন প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম।

গোপন লটারির খবর ছড়িয়ে পড়লে সকল ঠিকাদাররা এলজিইডি অফিসে গিয়ে প্রকৌশলী শিরাজুল ও কম্পিউটার অপারেটর তরিকুলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় ঠিকাদারদের তোপের মুখে গোপনে করা তিন কাজের লটারি বাতিলের ঘোষণা দেন এই প্রকৌশলী।

কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার অপারেটর তরিকুলের সঙ্গে যোগসাজশ করে ৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেন প্রকৌশলী শিরাজুল। এছাড়াও প্রত্যেক কাজের জন্যই কম্পিউটার অপারেটর তরিকুলের মাধ্যমে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ নেন প্রকৌশলী।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনটি কাজের লটারিতে জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এগুলোর লটারি পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply