ঘরের মাঠের পিচ নিয়ে যারা সমালোচনায় মুখর ছিলেন তাদের শঙ্কায় সত্য হলো। মিরপুরের নিম্নমানের পিচে গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছিল টাইগাররা। এরপর একই মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ যেতে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। সফরকারীরা বাংলাদেশের পিচের কঠোর সমালোচনা করলেও সেটি গায়ে মাখেনি বিসিবি। বোর্ড কর্তাদের যুক্তি, এ আত্মবিশ্বাসই বিশ্বকাপে রসদ যোগাবে বাংলাদেশকে।
এর নানা ঘটনাপ্রবাহ পেরিয়ে ফ্লাইট বাতিলের অনিশ্চয়তাকে পাশে রেখে বিশ্বকাপ খেলতে যায় তামিমবিহীন বাংলাদেশ। আইপিএলের কারণে প্রস্তুতি ম্যাচে ছিলেন না দলের দুই মূল স্তম্ভ সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। ছিলেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তাই শ্রীলঙ্কার ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়কে বড় করে দেখতে চাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
কিন্তু অশনি সংকেত ছিলই। সাথে ছিল স্কটিশ কোচের চোখ রাঙানিও। গ্রুপপর্বের প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে স্কটিশ কোচ শেন বার্জার বলেছিলেন বাংলাদেশ দল ওমান কিংবা পাপুয়া নিউগিনি দলের মতোই। ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্কটিশ কোচ আরো বলেছিলেন, গ্রুপের ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশকে আমরা পাপুয়া নিউগিনি বা ওমানের চেয়ে ওপরে দেখি না। আমরা জানি, সব দলই জয়ের জন্য আমাদের দিকে তেড়ে আসবে। তবে আমরা প্রস্তুত। স্কটিশদের বিপক্ষে টাইগারদের পরাজয়ে সেই কথার যথার্থতা প্রমাণে আর বাকি কী রইলো?
রোববার (১৭ অক্টোবর) বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশি বোলাররা দাপটের সাথে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ১৪০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে স্কটল্যান্ড। সেই রান তারা করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৪ রানে। ফলে ৬ রানে পরাজয় বরণ করতে হয় টাইগারদের। দেশের মাটিতে নিম্নমানের পিচে বাঘা বাঘা দলকে কুপোকাত করার আত্মবিশ্বাস তো কাজে লাগলোই না বরং ব্যাটিং প্র্যাকটিসের ঘাটতিটাই যেন বারবার ফুটে উঠলো। বিশেষ করে পাওয়ার হিটে ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতাই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত সমালোচকদের শঙ্কাই সত্য হলো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে বিশ্বকাপ যাত্রায় টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
Leave a reply