বর্তমানে স্মার্টফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। প্রায় সকলেরই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ইনফরমেশন নিজেদের ফোনে থাকে। এছাড়াও অফিসের কাজ, স্কুলের কাজ, ব্যাঙ্কের কাজ, অনলাইনে কেনাকাটা, ওষুধ কেনা, গ্যাস বুকিং, কারেন্টের বিল জমা দেয়া ইত্যাদি সব কিছুই মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে করা সম্ভব। এই সকল কাজের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ। যার সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকছে ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের অ্যাকাউন্ট। এর ফলে হ্যাকারদের প্রধান টার্গেট হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে নিজেদের অজান্তেই ঘটে যাচ্ছে বড় ধরনের বিপদ। ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়ে করা হচ্ছে ব্ল্যাকমেইল। ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে এগুলো অনায়াসেই করা যাচ্ছে।
ফোনকে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচানোর উপায়:
নিজেদের ফোনকে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ রয়েছে। কিন্তু এই অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে সেটির বিষয়ে ভালো করে জেনে নেয়া উচিত। যে কোনো জায়গা থেকে সেটি ডাউনলোড না করে, ভেরিফায়েড সোর্স যেমন গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে তা ডাউনলোড করা উচিত। এছাড়াও অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে ভালো করে তার রিভিউ দেখে নিতে হবে।
ফোনে ভাইরাস আছে কিনা, তা খোঁজার উপায়:
-পারমিশন ছাড়াই কোনো অ্যাপ কেনার জন্য টেক্সট অথবা মেসেজ এলে সেগুলোর মাধ্যমে ভাইরাস আসতে পারে। এছাড়াও ফোনের মাধ্যমে অজানা কোনো চার্জ কেটে নিলে ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
-এছাড়াও অজানা কোনো লিঙ্ক, অ্যাড, ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমেও ফোনে ভাইরাস ঢুকতে পারে।
-ম্যালওয়্যার এবং ট্রোজ্যান ফোন ব্যবহার করে স্প্যাম টেক্সট মেসেজ পাঠায়। এর ফলে ফোনের কন্ট্যাক্ট ভাইরাসের কবলে পড়তে পারে।
-ফোনের ব্যাটারি ব্যাক আপ কমে গেলে এবং সেটি বার বার বন্ধ হয়ে গেলে সেই ফোনে ভাইরাস থাকতে পারে।
-চার্জের সময় এবং এমনি সময়েও ফোন খুব গরম হয়ে গেলে সেই ফোনে ভাইরাস থাকতে পারে।
-কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার পর সেটি ঠিকঠাক না চললে সেক্ষেত্রেও সেই ফোনে ভাইরাস থাকতে পারে।
Leave a reply