পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে: ইরান প্রেসিডেন্ট

|

ছবি: সংগৃহীত

পরমাণু চুক্তিতে ফেরার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনায় বিশ্বাসী ইরান। তবে, যুক্তরাষ্ট্রকেও তাদের সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে একথা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। কার্যকর আলোচনার জন্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

নির্বাচনি ওয়াদা পূরণে দায়িত্বগ্রহণের পরপরই ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে তৎপরতা শুরু করে বাইডেন প্রশাসন। তবে এখনও দূর হয়নি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান টানাপোড়েন বা অবিশ্বাস।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দাবি, ক্ষমতা বদল হলেও তেহরানের প্রতি ওয়াশিংটনের নীতি বদলায়নি। কার্যকর আলোচনা চাইলে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেই।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি বলেন, ইরান কখনোই আলোচনার টেবিল থেকে সরে যায়নি। বরং ফলপ্রসূ আলোচনায় বিশ্বাসী। আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগের পথে না হেঁটে কার্যকর সমাধানে আন্তরিক হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেও।

এদিকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিসহ নানা ইস্যুতে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন সফর করছেন আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা-আইএইএ প্রধান। শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সংস্থাটির ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে উত্তর কোরিয়া, আফগানিস্তানসহ নানা ইস্যু উঠে এলেও মূল এজেন্ডা ছিলো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, আইএইএ’র কার্যক্রমের প্রতি জোরালো সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব কঠিন কাজ। যা তারা সফলভাবে করছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজরদারিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো বলেন, ইরান, উত্তর কোরিয়াসহ বড় বড় রাজনৈতিক ইস্যু আমাদের সামনে। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে আমাদের কার্যক্রমে সবসময়ই সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

পরমাণু কার্যক্রম সীমিতকরণে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সাথে চুক্তি করে ইরান। তবে শর্তভঙ্গের অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেরিয়ে যান চুক্তি থেকে। এরপরই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ওপর জোর দেয় ইরান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply