মোহাম্মদ নাইম ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, সেই ধারা অব্যাহত থাকলে অনায়াসে ১৭০-১৮০ রানের সংগ্রহ পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু নাইম-সাকিবের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেনি আর কোনো ব্যাটার। প্রকারান্তরে তাই ব্যাটিং ব্যর্থতাই থেকে গেলো অপরিবর্তিত। ২০ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ওমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পেরেছে ১৫৩ রান।
ওমানের সাথে বাঁচা-মরার লড়াই; সে হিসেবে মাঝের ওভারগুলোয় যেমন ব্যাট করা দরকার ছিল, ঠিক তেমনটাই করেছেন নাইম ও সাকিব। রান আউট হওয়ার আগে মাঠে ঝড়ই বইয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮ বলে ২০ রান করার পর সমালোচিত হচ্ছিলেন যে সাকিব, তিনিই আজ রান তুলেছেন ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে। ৬ চারের সাহায্যে ২৯ বলে ৪২ রান করে আকিব ইলিয়াসের সরাসরি থ্রোতে রান আউট না হলে সাকিব-ঝড়ে আরও অশান্ত হতে পারতো ওমানের মরূদ্যান।
মোহাম্মদ নাইম ও সাকিব আল হাসান ৫৪ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের ইনিংসকে নিয়ে এসেছেন আশাব্যঞ্জক ছন্দে। সাকিবের আউটের পর ক্রিজে এসে দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। তারপর ব্যর্থ হয়েছেন আফিফ, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাইফুদ্দিনরা। তবে আলো ছড়িয়েছেন নাইম। ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৩ চার ও ৪টি ছয়।
ওমানের ওপেনাররা আছেন ভালো ফর্মে। গর ম্যাচে ১০ উইকেটে জয় পেয়ে বেশ উজ্জীবিতও বতে। এখন দেখার অপেক্ষা, ১৫৩ রানকে কীভাবে রক্ষা করে বোলাররা। নইলে যে, দেশে ফেরার টিকেট কাটবে হবে মাহমুদউল্লাহদের!
Leave a reply