কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য সারাদেশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
সম্প্রতি কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত ১৩ অক্টোবর পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৫ জনের প্রাণ হারানোর ঘটনায় পুলিশ ‘আত্মরক্ষার্থে’ এবং ‘জনগণের জানমালের নিরাপত্তা’র স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় জানিয়ে বলা হয়, এ সংঘর্ষে পুলিশেরও ১৫ জন সদস্য মারাত্মকভাবে জখম হন। এছাড়া নোয়াখালী, রংপুর, কক্সবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় ঘটা সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ৫০ জন পুলিশ আহত হন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংঘটিত এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সারাদেশে গতকাল (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ৭২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, আরও মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
ঘটনার রহস্যের দ্রুততর সমাধানের জন্য ইতোমধ্যেই থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এবং প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থা সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও উসকানি রোধকল্পে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি রোধকল্পে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের সকল গোয়েন্দা সংস্থা সার্বক্ষণিকভাবে কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
যেকোনো বিভ্রান্তিকর তথ্য অথবা গুজব কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত বা উত্তেজিত না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা এবং পরিস্থিতির উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য দেশের সকল সম্মানিত নাগরিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।
Leave a reply