টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটিং ব্যর্থতার নানা জায়গা হয়ে গেছে পরিষ্কার। এর সাথে যোগ হয়েছে আরেক দুশ্চিন্তা, যার নাম ক্যাচ মিস। মঙ্গলবার রাতে ম্যাচ শেষে ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন ব্যাট-বলে আবারও নৈপুন্যের সাক্ষর রাখা সাকিব আল হাসান।
ওমানের বিপক্ষেও একাধিক ক্যাচ ছাড়ার ঘটনা ঘটেছে। ক্যাচ মিস করেছেন তাসকিন, মোস্তাফিজ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এর মধ্যে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ মিস তো ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। শরীরী ভাষায়ই নড়বড়ে হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ কি তবে আগেই হেরে যাবে ডু অর ডাই ম্যাচ- এ প্রশ্নটাই উঠে এসেছিল তখন তাবৎ সমর্থকদের মনে। যদিও ক্যাচ মিসের বড় খেসারত দিতে হয়নি টাইগারদের; ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশই জিতেছে। তবে ক্যাচ মিস না হলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতো। এতে প্রভাব পড়তো বাংলাদেশের রানরেটে।
ক্যাচ মিসের বাহুল্যের কারণ কী, এর জবাবে সাকিব বলেন, রাতের বেলায় ক্যাচ ধরা একটু কঠিন হয়। এখানকার ফ্লাডলাইট অপেক্ষাকৃত নিচু। এ কারণে বল যখন লাইটের উপরে চলে যায় বল দেখতে কিছুটা অসুবিধা হয়। আরেকটা জিনিস মনে হচ্ছে, বল কেন যেন তাড়াতাড়ি পরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ক্যাচ ধরা কঠিন তবে, আমাদের আসলে অজুহাত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখানে যথেষ্ট ট্রেনিং করেছি। বেশ কটি ম্যাচও খেলেছি। তাই আমাদের অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া উচিত। অবশ্যই শতভাগ ক্যাচ ধরতে পারলে দলের জন্যই ভালো। সে চেষ্টাই থাকবে আমাদের।
সাকিব আরও বলেন, আমরা পরিকল্পনামাফিক ১৫০ রানের বেশি করেছি। তবে উন্নতির আরও জায়গা আছে অনেকগুলো জায়গায়। আরও ২০/২৫ রান বেশি করার সুযোগ ছিল আমাদের সামনে। পাওয়ার প্লেতে বাড়তি ১৫ রান আসতেই পারতো; আর ডেথ ওভারে ১০ রান। বাড়তি ২৫ রান থাকলে আমরা নির্ভার হয়ে খেলতে পারতাম। ডেথ ওভার ও পাওয়ার প্লে’র ব্যাটিং নিয়ে আরও কাজ করতে হবে আমাদের।
Leave a reply