বৈশ্বিক মেধা সূচকে ১৩৪টি দেশের মধ্যে ১২৩তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ বছরের গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্সে (জিটিসিআই) বাংলাদেশের এ অবস্থান মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
ফরাসি বিজনেস স্কুল ইনসিড এবং অলাভজনক গবেষণা সংস্থা পোর্টুল্যান্স ইনস্টিটিউট গতকাল মঙ্গলবার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। মেধা অর্জনের সক্ষমতা, আগ্রহ, বিকাশ, ধরে রাখা, বৃত্তিমূলক, কারিগরি দক্ষতা ও বৈশ্বিক জ্ঞান- এ ৭টি বিষয় বিবেচনা করে এ তালিকা তৈরি করা হয়।
এবছরের জরিপে ১৩৪টি দেশ, ১৫৫টি শহর ও ৭৫ ধরনের অর্থনীতিসহ সব ধরনের আয় ও সকল পর্যায়ের উন্নয়নকে গণনায় রাখা হয়েছে।
তালিকার প্রথম বিশটি দেশই উচ্চ আয়ের দেশ, যারা শিক্ষা ও কর্মসংস্থান উভয়টিতেই অনেক বেশি এগিয়ে। প্রথম ১০টি দেশ যথাক্রমে-সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও আইসল্যান্ড।
২৫ দশমিক ৩ স্কোর নিয়ে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ নবম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ৮৮তম, শ্রীলঙ্কা ৯৩তম, পাকিস্তান ১০৭তম ও নেপাল ১১৩তম।
এদিকে বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের নিচে আছে মাত্র ১১টি দেশ, যার সবগুলোই আফ্রিকা মহাদেশের। এঙ্গোলা বাদে বাকি ১০টি দেশই আবার নিম্নআয়ের দেশ, যেখানে বাংলাদেশ কিনা নিম্ন-মধ্যম থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হবার পানে এগোচ্ছে।
এ বছরের জিটিসিআই তালিকার ১৩৪টি দেশের মধ্যে ৪৭টি উচ্চ আয়ের, ৩৬টি উচ্চ-মধ্যম আয়ের, ৩৬টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের ও ১৪টি নিম্ন-আয়ের দেশ।
তালিকায় আছে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ৯টি দেশ, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়ার ১৫টি দেশ, ইউরোপের ৩৯টি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ২০টি দেশ, উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ার ১৯টি দেশ, উত্তর আমেরিকার ২টি এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার ৩০টি দেশ।
Leave a reply