জাহাজে পণ্য রফতানির জন্য কন্টেইনার সংকট সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে চরমে উঠেছে। এই সুযোগে কন্টেইনার ভাড়া আড়াই হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ডলার। নিটওয়্যার পণ্য রফতানিকারকরা বলছেন, বাড়তি টাকা দিয়েও সময়মতো কন্টেইনার না পাওয়ায় ক্রেতাদের কাছে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানো যাচ্ছে না পণ্য।
বাংলাদেশের আমদানি রফতানির ৮৫ ভাগই হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। দেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগের যোগানদাতা তৈরি পোষাকখাতের পণ্য আনা নেয়ায় প্রায় পুরোটা নির্ভর করে এই বন্দরের ওপর। কিন্তু বেশকিছুদিন ধরে কন্টেইনারের সংকট দেখা দিয়েছে বন্দরটিতে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আমদানিকারক দেশগুলোতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে অনেক বেশি সময় লাগছে। ফলে খালি কন্টেইনার না পাওয়ায় গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি টাকা।
আর বিকেএমইএ বলছে, কয়েকগুণ বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না কন্টেইনার। রফতানির পাশাপাশি সময়মতো সূতাসহ কাঁচামাল আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সমুদ্রপথে কন্টেইনার জটের কারণে অনেকেই এখন কার্গো বিমানের মাধ্যমে পণ্য রফতানি করছেন। এর ফলে সেখানেও বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
Leave a reply