ইমন ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়:
দীর্ঘ ১৯ মাস পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাস ও শ্রেণি কার্যক্রম। সকাল থেকেই বিভাগের ক্লাসরুমগুলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকেই ক্লাসে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারো প্রাণ ফিরেছে প্রিয় ক্যাম্পাস অঙ্গনে। বেশ কিছু বিভাগ ঘুরে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর গতবছর ১৮ মার্চ বন্ধ হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম। নানা সতর্কতা অবলম্বন আর শিক্ষার্থীদের টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরুর পর তা আবার চালু হলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি শেখ আদনান ফাহাদ বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে পাইনি। তবে অনলাইনে আমাদের শ্রেণি কার্যক্রম চালু ছিল। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। ক্লাসের যে আনন্দ উল্লাস আমরা এতদিন মিস করছিলাম তা আবারও আমরা ফিরে পেলাম। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার বেসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক ডোজ করোনা টিকা কার্ড দেখানোর ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন ব্যাচের অনলাইন পরিক্ষা চলমান থাকায় আমরা অনলাইন ও অফলাইন বাস্তবতাকে সামনে রেখেই শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তৃণা বলেন, দীর্ঘদিন পর সেই পরিচিত মুখ, সেই পরিচিত ক্যাম্পাস, এ যেন বসন্তের নতুন অনুভূতি।
এছাড়াও দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা পিংকি। জানালেন, অনেকদিন পর শিক্ষকদের সাথে দেখা হওয়ায় উচ্ছ্বসিত তিনি। তাছাড়া অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের জটিলতাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ায় খুশি শিক্ষার্থীরা।
এদিকে করোনার মধ্যেই বেশ কয়েকটি বিভাগ অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করেছে। বাকি থাকা বিভাগগুলোর চূড়ান্ত পঈক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Leave a reply