ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে খুনের মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফেনী :

ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ফেসবুক লাইভে এসে তাহমিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা ।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ফেনী জজ কোর্টের পিপি হাফেজ আহম্মদ বলেন, সকল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে খুনের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

হত্যাকান্ডের শিকার তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বলেন, ন্যায় বিচার পেয়েছি, বিচারবিভাগ এবং সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

রায়ের বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, অল্প সময়ে মামলাটির বিচার কাজ শেষ হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। আমরা সুবিচার পেয়েছি।

আসামী পক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার অভিযোগ করেন, আমরা সুবিচার পাইনি। সুবিচারের জন্য উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করবো।

আদালত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার তাহমিনা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে টুটুলের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ ও বাদিপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু। আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার আইনজীবী শাহজাহান সাজু তাহমিনা হত্যা মামলাও নিজ খরচে পরিচালনা করেন। আসামীপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন আইনজীবী আবদুস সাত্তার।

পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞা ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা টুটুল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল সবার কাছে মাফ চান এবং ঘটনার জন্য নিজেই দায়ী বলে স্বীকার করেন।

এছাড়া পারিবারিক অশান্তির জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেন। তার স্ত্রী পরিবারকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতেন বলেও দাবি করেন। তিনি ভিডিওতে তার মেয়েকে দেখভালের জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply