তালেবানকে জায়গা না দিয়ে আফগানিস্তানের পক্ষে ‘শ্রেয়তর প্রতিনিধিত্ব’-কে সুযোগ দিতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছেন একদল আফগান নারী। তাদের বক্তব্য, এমন কেউই জাতিসংঘে আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হোক, যিনি দেশটিতে সকলের অধিকারকে সম্মান করেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিউ ইয়র্ক সদর দপ্তরে উপস্থিত হন চার আফগান নারী। তাদেরই একজন হলেন সাবেক আফগান রাজনীতিক ফৌজিয়া কুফি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যারা সহাবস্থানের পক্ষে, যারা নারীদের সম্মান করে এবং সকলের সমান অধিকারে আস্থা রাখে, গোটা বিশ্বের ‘মানবিক সহায়তা, অর্থ ও স্বীকৃতি’ কেবল তাদেরই প্রাপ্য।
নারীদের সে দলটিতে ফৌজিয়ার সাথে আরও ছিলেন সাবেক রাজনীতিক নাহিদ ফরিদ, সাবেক কূটনীতিক আসিলা ওয়ার্দাক এবং সাংবাদিক আনিসা শহীদ।
নাহিদ ফরিদ বলেন, যখন তালেবান ক্ষমতায় এলো, তারা বলেছিল নারীদের পুনরায় কাজে ফেরা, স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেবে। কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি।
আগস্টের মাঝামাঝি ক্ষমতায় আসার পর ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী নারীদের অধিকার সংরক্ষণের অঙ্গীকার করেছিলেন তালেবান শাসকেরা।
এদিকে দোহা-ভিত্তিক মুখপাত্র সুহাইল শাহীনকে জাতিসংঘে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছে তালেবান। অন্যদিকে পূর্বতন সরকারের নিযুক্ত জাতিসংঘ-প্রতিনিধি গোলাম আইজাকজাই-ও চাইছেন আসনটি ধরে রাখতে। এই বছরের শেষ নাগাদ জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলো কর্তৃক আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টির একটি সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আফগান নারী ও মেয়েশিশুদের সহায়তা বিষয়ে জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবার আগে সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনে নারীদের এই দলটি বলেন, তালেবানকে তাদের প্রতিশ্রুতি-রক্ষার জন্য চাপ দিতে হবে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোকে।
Leave a reply