শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের টাইগারদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে অন্যতম সেরা বলছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফাইনালের বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালি ভারত হলেও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ম্যাচের আভাস টাইগার অধিনায়কের কন্ঠে। তবে পেইসারদের আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ তার।
এদিকে মাহমুদুল্লার অভিজ্ঞতাই বাংলাদেশ কে জয় এনে দিয়েছে বলে মনে করেন লঙ্কান ব্যাটম্যান কুশল পেরেরা। তবে শেষ ওভারের ঘটনা মাঠেই রাখতে বললেন সাকিব আল হাসান।
কলোম্বর প্রেমাদাসায় স্টেডিয়ামে উত্তেজনার বারুদে ঠাসা এক ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে আরো বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চ। জয়ের জন্য টাইগারদের তখনও দরকার ১২ রান। কিন্তু প্রথম বলে বাউন্সারের পর দ্বিতীয় বলেও একই কাজ করেন উডানা। মোস্তাফিজের কাধের ওপর দিয়ে বল গেলে লেগ আম্পায়ারের সিগন্যাল। তবে শেষ পর্যন্ত ডেলিভারিটি বৈধ জানিয়ে দেন আম্পায়ার। আর তাতেই বাধে বিপত্তি।
রিপ্লেতে দেখা যায় দ্বিতীয় বলের হাইট প্রথম বলের চেয়ে বেশি। লেগ আম্পায়ার নোবলের সংকেত দিলেও শেষ পর্যন্ত তা বদলে যায়। ড্রেসিং রুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সাকিব। প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছাড়তে বলেন সতীর্থদের। তবে পরিস্থিতি সামল দেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
সাকিব আল হাসান বলেন,”লেগ আম্পায়ার কল করেছিল। এর পর তারা আলোচনা করে ওটা বাতিল করেছেন, যেটা আমার কাছে মনে হয়নি সঠিক সিদ্ধান্ত। আমি জানি না, প্রথমটা বাউন্সার কল করেছিল কিনা। তবে দ্বিতীয়টার পর নো ডেকেছিল। এটাই হয়েছে। সবারই ভুল হতে পারে। তবে যেটি হয়েছে আশা করি স্পোটিংলি নেবে দু দল। মাঠের বিষয় মাঠেই থাক”।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত, তবে পেন্ডুলামের তম দুলতে থাকা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১ বল হাতে রেখেই স্বাগতিক দর্শকদের অশ্রুশিক্ত করে বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত হয় অন্তরালের হিরো মাহমুদুল্লাহ রিয়ারের ব্যাটে। তার প্রায় ২শ ৪০ স্ট্রাইক রেটে ৪৩ রান যে বাংলাদেশের ত্রাতা তা মনে করিয়ে দিলেন সাকিব। সঙ্গে প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।
সাকিব আরও বলেন,”আমরা শেষ পাঁচ ওভারে ওভাবে মারতে পারি না। আজ তা সম্ভব হয়েছে রিয়াদ ভাইয়ের সৌজন্যে। এ রকম চাপের ম্যাচে এ রকম ব্যাট করা অবিশ্বাস্য। ইনিংসের শেষ দিকের কথা বিবেচনায় নিলে, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছেন উনি”।
শ্রীলঙ্কা ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা বলেন, “মাহমুদুল্লাহ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। পরিস্থিতি বুঝে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ বের করেছে সে”।
সাকিব বলেন,”রোমাঞ্চ থেকে আবেগ, একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যা দরকার তার সবই ছিল এই ম্যাচে। আশা করি ফাইনালেও উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিতে পারব। তবে ভারত সেরা দল, ওদের বিপক্ষে ভুল করা চলবেনা”।
জিততে ভুলেনি বাংলাদেশ তা প্রমানের জন্য বাকি ভারতের বিপক্ষে রোববারের ফাইনাল। দেখা যাক ভারতের বিপক্ষে ঠিক কতটা জ্বলে উঠতে পারে বাংলার টাইগাররা।
যমুনা অনলাইন: আরএম
Leave a reply