কমছে জন্মহার, বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা, বাড়ছে নতুন বাড়ির সংখ্যাও। স্বাভাবিকভাবেই তাই পাল্লা দিয়ে জাপানে বাড়ছে পরিত্যক্ত বাড়ির সংখ্যা।
জাপান টুডের এক প্রতিবেদনে পাঁচ বছর আগের এক সমীক্ষা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, জাপানে ৬ কোটির মতো বাড়ির বিপরীতে পরিত্যক্ত বাড়ির সংখ্যাই ৮৫ লাখ। শুধুমাত্র টোকিওতেই প্রতি দশটি বাড়ির একটি পরিত্যক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটিতে এক তৃতীয়াংশ বাড়িই পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হবে।
মফস্বলে থাকার ঝক্কি এড়িয়ে তুলনামূলক উন্নত শহগুলোতে মানুষের স্থানান্তর হওয়া তো আছেই, পরিত্যক্ত বাড়ির সংখ্যা বাড়ার আরেক কারণ ‘ট্যাক্স’! অনেক মানুষই সম্পত্তির ওপর আরোপিত কর এড়িয়ে যাওয়ার জন্য শহরে অ্যাপার্টমেন্ট কিনে থাকাটাকেই আজকাল পছন্দ করছেন।
ফলে ক্রমেই খালি হতে থাকা শহরতলি এলাকাগুলোকে পুনরায় মানুষে ভরপুর করতে উদ্যোগী হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও। বিনামূল্যে বাড়ি বিলি না করলেও সংস্কার করে বাড়িটির মালিকানা গ্রহণের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তুকির সুযোগ রেখেছে টোকিয়োর টোয়োশিমা-কু শহর কর্তৃপক্ষ। ফলে কিছুটা আর্থিক সঙ্গতি আর ১৮ বছরের নিচে সন্তান থাকলে সহজেই কিনে ফেলা সম্ভব সেই বাড়িগুলো।
এদিকে টোকিও থেকে দুই ঘণ্টা দূরত্বের এলাকা ওকোসুকা’র প্রশাসন বাড়ি বিক্রির জন্য আলাদা করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। পুরনো বাড়ি কিনতে ইচ্ছুকদের জন্য অনেক স্বল্পমূল্যে বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা।
এছাড়াও কাগোশিমা, কোচি, ওয়াকাইমাতেও খালি পড়ে থাকা অনেক বাড়ির ব্যাপারেই থাকছে এমন নানান সুযোগ। তবে ভিনদেশী নাগরিকদের জন্য কাজটি যতটা সহজ ভাবা হচ্ছে, ততটাও নয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেইসব পরিত্যক্ত বাড়ি কেনার জন্য শর্ত থাকে স্থায়ীভাবে সেখানেই বাস করতে হবে। জাপানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি না থাকলে তখন আটকে যেতে পারেন ‘ভিসা শর্তের’ গ্যাঁড়াকলে। দ্বিতীয়ত, শুরুতেই মালিকানা পেয়ে যাবেন না, নানা শর্তসাপেক্ষে বেশ অনেকদিন ভাড়ায় থাকতে হবে সেখানে। তদুপরি কিছু ‘হিডেন চার্জ’-ও যাবে আপনার পকেট থেকে।
Leave a reply