কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নিবন্ধন অধিদপ্তরের নবযোগদান কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও মত বিনিময়ের সময় তিনি একথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত ভিডিও ফুটেজগুলো আদালতে সাবমিট করা হলে তা আমলে নেয়া হবে। বিচারক নিয়োগের নীতিমালার কথাও ভাবছে সরকার বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে আজ শনিবার দুপুর ১২টায় এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে তোলা হয়। আদালতে অভিযুক্তদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন কোতোয়ালী থানার এসআই মফিজুল ইসলাম। শুনানি শেষে তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এম তানভীর আহমেদ।
রিমান্ডে থাকা অভিযুক্তরা হলেন, ইকবাল হোসেন, সিসিক্যামেরার ফুটেজে শনাক্ত মসজিদে বসে থাকা হাফেজ হুমায়ুন, মাজারের খেদমতকারী ফয়সাল এবং ট্রিপল নাইনে ফোন দেয়া ইকরাম। চারজনই প্রাথমিকভাবে ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, কড়া নিরাপত্তায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় ইকবালসহ চারজনকে। আদালতে তোলার আগে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে রাখা হয়েছিলো ইকবালকে। সেখানেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় কুমিল্লার মণ্ডপকাণ্ডে আলোচিত এ যুবককে।
Leave a reply