পীরগঞ্জে হামলার মূলহোতা সৈকতকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি

|

র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সৈকত ও তার সহযোগী রবিউল।

রংপুরের পীরগঞ্জে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার সৈকত মণ্ডলকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। সৈকত কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

পীরগঞ্জে হামলার পর গত সোমবার (১৮ অক্টোবর) তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুজ্জামান সিজার সৈকতকে বহিষ্কারের ব্যাপারে বলেন, গত ১৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সৈকতকে।

এদিকে, পীরগঞ্জে হামলার ঘটনায় সৈকত ও অপর আসামি রবিউল ইসলামকে ঢাকার টঙ্গী থেকে গতকাল শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে আটক করেছে র‍্যাব।

সৈকত ও রবিউলকে আটকের পর র‍্যাব জানিয়েছে, ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং মিথ্যা পোস্টের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয়দের উত্তেজিত করেন সৈকত মণ্ডল। আর জেলেপল্লিতে হামলার রাতে বটেরহাট জামে মসজিদ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয়দের একত্রিত করেন সৈকতের সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৬)। এরপরই হামলা চালানো হয় রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর কসবা জেলেপল্লিতে। 

গতকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সৈকত মণ্ডল আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে আসছিল। কুমিল্লার ঘটনার পর থেকেই সে ফেসবুকে নানারকম উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছে। জেলেপল্লিতে হামলার পেছনে গুজব ছড়াতেও সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আর সৈকতের এসব বক্তব্য প্রচারে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে রবিউল। 

কমান্ডার মঈন আরও বলেন, আটক হওয়া সৈকত মণ্ডল যে গ্রামে আগুন দিয়েছে, সে গ্রামের মসজিদে গিয়ে মাইকিং করে আরও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে স্থানীয়দের একত্রিত হতে বলে। পরবর্তীতে সে ওই গ্রামে হামলায় নেতৃত্ব দেয়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply