সুপার টুয়েলভ শুরুর আগে ৫ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশের মিশ্র অভিজ্ঞতার কথা বলছে পরিসংখ্যান। রয়েছে স্বস্তি-অস্বস্তি দুটোই। ৫ প্রতিপক্ষের মধ্যে ৩ দেশই র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের নিচে। তবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা আছে এগিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখনও মাঠেই নামা হয়নি আর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয় এখনও অধরা। সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের এই ৫ প্রতিপক্ষের পরিসংখ্যান দেখে নেয়া যাক।
আগামী রোববার (২৪ অক্টোবর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের সুপার টুয়েলভের লড়াই। সেখানে লঙ্কানদের সাথে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, উইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া।
লড়াই শুরুর আগে পরিসংখ্যান দেখে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে বাংলাদেশ। আইসিসির বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ নম্বরে। যা ৭ নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়া, ৯ নম্বরে থাকা উইন্ডিজ ও ১০ নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার উপরে। বাকি দুই দল হচ্ছে শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের ১ ধাপ উপরে ৫-এ থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা।
শ্রীলঙ্কার সাথে পরিসংখ্যান খুব একটা পক্ষে কথা বলছে না বাংলাদেশের জন্য। তবে সব শেষ দুই ম্যাচে জয় টাইগারদের। ১১ টি-টোয়েন্টিতে ৪ জয়ের বিপরীতে টাইগাররা হেরেছে ৭ ম্যাচে।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ইংল্যান্ড। তবে ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। ২৭ অক্টোবর আবুধাবিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ইংলিশরা।
২৯ অক্টোবর শারজায় উইন্ডিজের বিপক্ষে লড়বে রাসেল ডোমিঙ্গো শিষ্যরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুই দল কাছাকাছি থাকলেও টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা উইন্ডিজ শক্ত পরীক্ষাই হয়তো নেবে বাংলাদেশের। দু’দলের ১২ ম্যাচে ৫ জয় বাংলাদেশের, আর ৬ জয় উইন্ডিজের। ফল আসেনি ১ ম্যাচে।
নিজেদের ৪র্থ ম্যাচে ২ নভেম্বর আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে বাংলাদেশের নেই কোনো জয়। সব ম্যাচেই হেসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই এবারও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।
আর সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে ৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। অজিদের বিপক্ষে অবশ্য সম্প্রতি ঘরের মাঠে ৪-১ এ সিরিজ জিতেছে সাকিব-রিয়াদরা। সেই পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তি দিলেও কন্ডিশন বিবেচনায় শুধু জয়ের আত্ববিশ্বাসটাই কাজে লাগতে পারে বাংলাদেশের।
Leave a reply