শারজা সাক্ষী হলো মুশফিকুর রহিমের মরুঝড়ের। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে কেবল ফর্মেই ফেরেনি মিস্টার ডিপেন্ডেবল, টাইগারদের জন্য ম্যাচ জয়ের উপযোগী রানও জমা করেছেন স্কোরবোর্ডে। এর সাথে মোহাম্মদ নাইমের ৬২ রানে ভর করে লঙ্কানদের সামনে জয়ের জন্য ১৭২ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে মাহমুদউল্লাহর বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পায় বাংলাদেশ। চামিকা ও বিনুরার প্রথম ওভার দুটি দেখেশুনেই লেখেন লিটন-নাঈমরা। এরপর প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে আসেন দুশ্মন্ত চামিরা। আর এই পেসারের উপরেই খড়গহস্ত হন নাঈম। দুটি নো বলে প্রাপ্ত ফ্রি হিট থেকেও আসে রান। তারপর ছন্দে চলে আসেন লিটন দাসও। নাঈমের সাথে এই স্টাইলিশ ব্যাটারও খেলেছেন বলের মেরিট বিচার করে। তবে লাহিরু কুমারাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে শানাকার হাতে ধরা পড়েন লিটন।
নেমেই দুটি চারে ইনিংস শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু করুনারত্নেকে ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন এই চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন নাঈম। ৬ চারের সাহায্যে ৫২ বলে ৬২ রান করে যখন ফিরে যান নাঈম, তখন শেষদিকে ঝড় তোলার মঞ্চ প্রস্তুত। মাঝেমধ্যে নাঈমের ব্যাট হয়ে উঠছে খাপখোলা তরবারি। এছাড়া স্ট্রাইক রোটেটও করছেন দারুণভাবে। আফিফ খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও মাহমুদউল্লাহ সময় নেননি রানের গতি বাড়াতে। অন্যদিকে চলেছে মুশফিক ঝড়। তাতেই ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যে ব্যাটিং ছিল আজকের আজ পর্যন্ত আসরে বাংলাদেশের দুর্ভাবনার নাম, আর মুশফিকের ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তার বাড়ছিল তীব্রতা, দুটোকেই উড়িয়ে দিয়েছেন আজ মিস্টার ডিপেন্ডেবল; সেই শটের নাম হতে পারে স্লগ সুইপ বা আপার কাট, যেকোনো কিছুই।
Leave a reply