শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ভুল আম্পায়ারিং নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর মুহূর্তে মাঠের খেলোয়াড়দের ফিরে আসতে বলায় জরিমানা গুনতে হয়েছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। একই সাথে জরিমানা করা হয়েছে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড় নুরুল হাসান সোহানকেও।
ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি জানিয়েছে, সাকিব আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.১.১ ভঙ্গ করেছেন যা কিনা খেলার স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক। আর নুরুল হাসান কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.১.২ লঙ্ঘন করেছেন যা খেলাটিকে কদর্য করেছে।
আইসিসির ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছেন, শুক্রবারের ঘটনা ছিল হতাশাজনক। আপনি কোনো পর্যায়ের খেলোয়াড়দের থেকে এমন ব্যবহার আশা করতে পারেন না। আমি বুঝি এটি ছিল শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্ত। কিন্তু তারপরও দুই খেলোয়াড় যে আচরণ করেছেন তা অগ্রহণযোগ্য। যদি ম্যাচ চতুর্থ আম্পায়ার সাকিবকে না থামাত, ফিল্ডাররা বিরোধিতা করতো এবং মাঠের আম্পায়ার নুরুল এবং থিসারার মধ্যে হস্তক্ষেপ না করতো, আরও বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারতো।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে উত্তেজনার বারুদে ঠাসা এক ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে আরো বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে শেষ ওভারের রোমাঞ্চ। জয়ের জন্য টাইগারদের তখনও দরকার ১২ রান। কিন্তু প্রথম বল বাউন্সার দেয়ার পর, দ্বিতীয় বলেও একই কাজ করেন উদানা। মোস্তাফিজের কাঁধের ওপর দিয়ে বল যায়, সিগন্যালও দেন লেগ আম্পায়ার। সেটি এড়িয়ে গিয়ে ডেলিভারিটিকে বৈধ ঘোষণা দেন আম্পায়ার। তাতেই সৃষ্টি হয় গোলযোগের।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় দ্বিতীয় বলের হাইট প্রথম বলের চেয়ে বেশি। এ ঘটনায় মাঠে ও মাঠের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। মাঠের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ কথা বলেছেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। পানি নিয়ে ভেতরে ঢোকা রিজার্ভ বেঞ্চের খোলোয়াড় সোহানও তর্কে জড়িয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের সাথে।
একপর্যায়ে ড্রেসিং রুম ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছাড়তে বলেন সতীর্থদের। তবে, পরিস্থিতি সামাল দেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ছক্কায় বীরত্বপূর্ণ জয় পায় টাইগাররা।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply