নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর চন্দ্র আশ্রম মন্দির ও শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে, এ ঘটনায় আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত ২৫’শ টাকাও।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুমন, বিএনপি কর্মী ইউছুফ, হাতিয়া পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছেরাজুল হক বেচু, করিমপুর এলাকার ইমরান হোসেন নিশান, রনি, হাজীপুর এলাকার আক্তারুজ্জামান, সোনাইমুড়ী রশিদপুর গ্রামের রবিউল হোসেন ও লক্ষীপুরের সদরের সাহেদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ফয়সাল ইনাম কমলকে সোমবার রাতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাহী এর আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪
ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দিতে কমল চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার উস্কানিদাতা হিসেবে বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ জন নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। কমল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে কুমিল্লার ঘটনার পর থেকে ফেসবুকে
বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করাসহ উস্কানিমূলক পোস্ট দেয় বলেও জানায় পুলিশ।
কমলকে এ ঘটনার উস্কানীদাতা ও ইন্ধনদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে সোমবার তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
Leave a reply