কক্সবাজার প্রতিনিধি:
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ষষ্ঠ দফায় দ্বিতীয় দিনে আরও ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেন আদালত। এ দিন সাক্ষ্য দেয়ার সময় সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, লিয়াকতের গুলিতেই নিহত হয়েছেন মেজর সিনহা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া দশটা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে মেজর অবঃ সিনহার মরদেহ থেকে উদ্ধারকৃত গুলি ও জব্দ করা বিভিন্ন মালামালের রাসায়নিক পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
রাসায়নিক পরীক্ষক মিজানুর রহমান ও পিংকু পোদ্দার আদালতে জানান, রাসায়নিক পরীক্ষায় তারা প্রমাণ পেয়েছেন, সিনহা রাশেদের শরীর থেকে উদ্ধার হওয়া গুলি লিয়াকতের পিস্তল থেকেই ছোঁড়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার যাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে তারা হলেন- গ্রামীণফোন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি কর্মকর্তা মো: আহসানুল হক, রবি মোবাইল ফোন অপারেটর কর্মকর্তা সৈকত আহ্মেদ শিপলু, সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পিংকু পোদ্দার, কনষ্টেবল শওকত হোসেন, এসআই বাবুল মিয়া, রাসেদুল হাসান, মো: হাসেম, এপিবিএন পুলিশের এসআই মুছা, আবদুল জলিল, আবদুল্লাহ আল হাসান, এএসআই মামুন মিয়া, এসআই নাজমুল হাসান ও সুমন কান্তি।
সকালে মামলার ৪৪নং সাক্ষী গ্রামীণ ফোন কোম্পানির কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহসানুল হকের স্বাক্ষগ্রহণের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে ৫৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেন। আগামীকাল বুধবারও অুনষ্ঠিত হবে এই মামলার সাক্ষ্য জেরা।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
Leave a reply