মঙ্গলবারের ম্যাচে ৮ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ম্যাচজয়ের এই দিনে দলে ছিলেন না অপরিহার্য উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। তার বদলে ছিলেন রিজা হেনড্রিক্স।
অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা অবশ্য বলেছেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে খেলছেন না ডি কক। কিন্তু আসলেই কি তাই? অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেন সরে দাঁড়াবেন ডি কক?
এদিকে খবর হলো, কুইন্টন ডি ককের ওপর নাখোশ দেশটির বোর্ড ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। কারণ, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দলগত সিদ্ধান্তে ‘হাঁটু গাঁড়েননি’ তিনি।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের বলা হয়েছিল, ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে মুষ্টিবদ্ধ হাতে সকলকে একইভাবে অবস্থান নিতে। কিন্তু শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের সময় দেখা যায় সকলে একভাবে অবস্থান নেননি; বিশেষত অবস্থানই নেননি ডি কক।
এরপর সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা ঠিক করে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে যেন কেউই হাঁটু গাঁড়ার কোনোরকম ব্যতিক্রম কিছু না করে। এদিকে কুইন্টন ডি ককের ব্যাপারে রিপোর্ট পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
এরই মাঝে কুইন্টন ডি কক ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে জানান, এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি এভাবেই ভাবি!
যদিও ক্রিকেটারদের ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের বক্তব্য হলো, দক্ষিণ আফ্রিকার তিক্ত ইতিহাসের কারণেই মূলত বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার প্রতীকী প্রতিবাদগুলোতেও অংশ নিতে দেখা যায়নি কুইন্টন ডি কককে। সে প্রসঙ্গে এবছরের জুনেও তিনি বিষয়টিকে ‘ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’ বলে পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলেন।
খেলোয়াড়দের প্রতীকী প্রতিবাদে অংশ নিতে এরকম মতপার্থক্যে সন্তুষ্ট নয় দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড। তবে অন্য খেলোয়াড়রদের চেয়ে তারকা ক্রিকেটার হওয়ায় কুইন্টন ডি ককের সমালোচনাই হচ্ছে বেশি। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক আর্থারটন স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পুরো দলের মধ্যে ডি কক যেন এক উদ্ভট দলছুট (pariah)।
তবে কি ‘দলছুট’ হবার দোষেই দল থেকে বাদ পড়েছেন ডি কক? নাকি হাঁটু গাঁড়তে বাধ্য না হতে দল থেকে এই ম্যাচের জন্য ছুটি নিলেন তিনি?
Leave a reply