২৫ অক্টোবর থেকে ভোলার চরফ্যাশনের ১৪নং জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদ ছেয়ে গেছে একটি পোস্টারে। যেখানে বলা হচ্ছে, সুন্নতি কাটিং, ডিফেন্স/আর্মি কাটিং ছাড়া অন্য কোনো স্টাইলে কেউ চুল কাটলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর পোস্টারেই নির্দেশদাতা হিসেবে ফোন-নম্বরসহ উল্লেখ করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের নাম।
এ ব্যাপারে নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে যমুনা নিউজকে তিনি বলেন, এলাকায় জুয়াড়ি, বখাটে, ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এদের নিয়েই উপজেলা পরিষদে আমরা সম্প্রতি আলাপ করেছিলাম। সেখানে চুলের ব্যাপার নিয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু যে নির্দেশনাপত্রটি ছাপা হয়েছে, সেটি আমার না।
কে বা কারা এই নির্দেশনাপত্রটি ছেপেছে, এ ব্যাপারেও জানেন না জানিয়ে নাজিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমি আজকেই সাড়ে ১২টার সময় এই খবর জানলাম। এদিকে অন্য আরেকটি সংবাদমাধ্যমে তিনি নির্দেশনা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন- এই মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নাই।
ঘটনার জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের সাথে স্থানীয় একজনের ‘বাকবিতণ্ডা’র ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি নির্দেশনা দিয়ে না থাকলে কেন তার ছেলে এই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ালো- এর উত্তরে তিনি বলেন, হয়তো এলাকায় এই নির্দেশনাপত্রের ছড়াছড়ি নিয়ে সে প্রতিবাদ করেছিল, তাই এরকম ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় তিনি স্থানীয় থানায় এই নির্দেশনার ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করবেন বলে জানিয়েছেন যমুনা নিউজকে।
Leave a reply