গঙ্গাচড়ার ছালাপাকে গেলেই দেখা মিলবে, চরে কেউ কাঁচি দিয়ে, কেউ কোদাল দিয়ে কাদার নিচ থেকে তুলছেন নষ্ট হওয়া ধানের শীষ। মনের কোণে ছোট্ট আশা- যদি অল্প হলেও কিছু চাল পাওয়া যায়! এমন দৃশ্য আসলে রংপুরসহ তিস্তা অববাহিকার সবগুলোর জেলার চরাঞ্চল-নিম্নাঞ্চলের।
হঠাৎ প্লাবনে নষ্ট হাজার হাজার হেক্টর জমির উঠতি আমন, আগাম আলু, কুমড়া, চিনাবাদাম, শাকসবজিসহ নানা ফসল। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সেই পরিমাণ খাদ্যশস্য, যা খোরাক যোগাতে পারতো অন্তত ছয় মাস!
স্থানীয় চাষীদের মাথায় এভাবেই যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। কীভাবে চলবে আগামীর দিনগুলো, কীভাবে শোধ হবে মহাজনের ঋণ- তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন গুনছেন তারা। অসময়ের বন্যায় কৃষকের হাহাকারে ভারী হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের বাতাস। কাজের জন্য অনেকেই নিজ এলাকা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি পোষাতে কার্যকর উপায় সে অর্থে জানা নেই স্থানীয় কৃষিবিভাগের। লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, অপেক্ষাকৃত দেরিতে রোপণ করা ধানে কিছুটা পানি স্প্রে করলে অথবা এ সময়ে যদি হালকা বৃষ্টি হয়, তবে কিছু ফসল বাঁচানো এখনও সম্ভব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, রংপুর কৃষি অঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান, আলু, কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।
Leave a reply