স্থানীয় প্রতিনিধি, গাইবান্ধা:
আতঙ্কে দিন পার করছেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ও তালুক কেঁওয়াবাড়িসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। রাতের বেলা বাধ্য হয়ে চলাফেরা করছেন লাঠি নিয়ে, এমনকি দিনেদুপুরে স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছে ছেলেমেয়েরা। যার মূলে রয়েছে এক অচেনা প্রাণী।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে অচেনা প্রাণীটির হাতে প্রথম হামলার শিকার হন ফেরদৌস সরকার রুকু (৫৫) নামে স্থানীয় মসজিদের এক ইমাম। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার ১৮ দিন পর নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। এরপর নানাভাবে পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু গ্রাম মিলিয়ে অন্তত ১০জন মানুষ আহত হয়েছেন এ প্রাণীর হামলায়। এছাড়া প্রাণীটির আক্রমণের শিকার হয়ে দুটি কুকুরের মৃতু্যও হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অচেনা এই প্রাণীটি দেখতে শেয়ালের মতো। লাল, সাদা ও ধূসর রংয়ের প্রাণীটির শরীরে রয়েছে ডোরাকাটাদাগ। সামনের পা দুটি ছোট হলেও মুখটা লম্বা এবং লেজটা আকারে বেশ বড়।
ধানক্ষেত কিংবা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা প্রাণীটি দিনে কিংবা রাতে মানুষ দেখলে হঠাৎ আক্রমণ করে বসে। স্থানীয়রা বলেন, একমাস ধরে এমন ভীতিকর পরিস্থিতি চললেও প্রশাসনের দিক থেকে কোনো ব্যবস্থা নেই।
এদিকে এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো.মাফুজার রহমান সরকার বলেন, জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত শেয়াল কিংবা কুকুরজাতীয় এই প্রাণীটি লোকালয়ে ঢুকে মানুষ ও প্রাণীর ওপর আক্রমণ করছে। প্রাণীটিকে শনাক্ত করাসহ সেটিকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে হরিণাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিব হোসেন জানান, প্রাণীটির আক্রমণের বিষয়টি তাদের জানা আছে। এ বিষয়ে নজরদারিসহ স্থানীয় এলাকার জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Leave a reply