গত এক বছরে চালের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ বার। এই পুরো সময় ধানের সংকট, বাড়তি চাহিদাসহ নানা অজুহাত দেখিয়েছেন মিলার ও ধান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার চাল আমদানির দাপটে তাদের সুর পাল্টেছে। বলছেন, প্রচুর ধান-চাল পড়ে আছে, কেনার কেউ নেই। অথচ, এতদিন চালের দাম কিভাবে বাড়লো তার সদুত্তর নেই কারো কাছেই।
রাজধানীর প্রায় সব চালের দোকানে এখন বস্তার স্তুপ। অনেক জায়গায় পণ্য রাখতে হয়েছে মাঝের করিডরেও। কৃষি মার্কেটে কম দামে মিলছে চাল। প্রতি বস্তায় দর কমেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ফলে, খুচরা পর্যায়ে ৫৬ টাকার আশপাশে মিলছে মিনিকেট। ৫০ টাকার বেশ নিচে মিলছে মোটা চাল। অগ্রহায়নে আমন মৌসুমে মিলবে নাজিরশাইলও। তাই কমতির দিকে এ জাতের দরও।
গত বছরের এই সময়ের তুলনায় ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে চালের দাম। তা সমাধানে, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার, কমে শুল্কও। আর এই খবরে, কয়েকদিনের মধ্যেই ধানের দাম পড়ে যায় মণে ১০০ টাকা। এখন বাজারে বিদেশি চাল আসায় ধানের চাহিদা আরো কম।
মিলারদের দাবি, মাসের প্রথমে সবাই বাজার করে বলে, চালের দর বাড়ে। আগের চেয়ে বেড়েছে ভাতজাতীয় খাবারের চাহিদাও। কিন্তু সে জন্য চাল আমদানির সিদ্ধান্ত মোটেই যৌক্তিক নয়।
Leave a reply