আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি।
দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরমতসহিষ্ণু বলেই বিএনপি বক্তৃ, বিবৃতি, মানববন্ধন, আলোচনা, টকশোসহ নানা উপায়ে সমালোচনা করছে। এজন্য সরকার তো তাদের কোনো শাস্তি দিচ্ছে না। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সহনশীল বলেই পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা করার পরেও আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ পারায়ণ হয়নি। আর আজ নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই তারা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচন বিমুখ।
১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চেয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল। এমনকি বিএনপি সংবিধান থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটনও করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় বিএনপিকে গণতন্ত্রের হত্যাকারী এবং আওয়ামী লীগকে ও শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের রক্ষাকারী বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন হ্যাঁ- না ভোট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া সময়ের ব্যাপার। কিন্তু বিএনপি যদি বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতো তাহলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে খুব দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো না বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সরকার ও বিরোধীদল উভয় মিলেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে, কিন্তু সেখানে বিরোধীদল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বারবার বাধা সৃষ্টি করছে। বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানী দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল, জনগণ সরকারের ওপর খুশি বলেই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ, এমনটা দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চেয়েছিল দেশের মানুষ না খেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে থাকুক, কিন্তু তা হয়নি বলে বিএনপির অন্তর্জালা শুরু হয়েছে।
Leave a reply