সম্প্রতি পীরগঞ্জে জেলেপল্লিতে হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৫৬ সেকেন্ডের আলোচিত ভিডিওটি ভুয়া। আলোচিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মন্দির পুড়ছে আগুনে। খাকি রঙের পোশাকধারী কয়েকজন নেভাচ্ছেন আগুন।
এই ফুটেজ ধরে অনুসন্ধান শুরু করে যমুনা টেলিভিশন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পীরগঞ্জের নয়। এমনকি ভিডিওটি বাংলাদেশেরই নয়। কারণ, জেলা পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস কারও পোশাকই খাকি নয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মন্দিরের ছাদ টিনের। অথচ পীরগঞ্জে যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়, সেটির ছাদ ঢালাই করা। অনুসন্ধানে ধরা পড়ে আরও কিছু অসঙ্গতিও।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন তুহিন ওয়াদুদ মনে করেন, এধরনের ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
বিষয়টি আইনশৃঙখলা বাহিনীর নজরেও আছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) কাজী মোত্তাকি ইবনু মিনান বলেন, এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ আইনি শক্তি প্রয়োগ করেতও তারা পিছপা হবেন না।
রংপুর মহানগর সুশাসনের জন্য নাগরিক, সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার করে যেভাবে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে, তা দমন করতে হবে প্রযুক্তি দিয়েই।
সংশ্লিষ্টদের মতে, গুজব ছড়ানো ঠেকাতে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তা হলেই বন্ধ হবে দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা।
Leave a reply