অবশেষে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রক্রিয়া। উত্তর কাট্টলীতে প্রস্তাবিত ৩০ একর জায়গায় বসেছে সাইনবোর্ড। স্থানটি পরিদর্শন করে প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত বলে মত দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীও। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের অপেক্ষায় চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতি কর্মীরা।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও চট্টগ্রামে স্থাপিত হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ। ফলে মহান বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ যেকোনো জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের একমাত্র ভরসা শহিদ মিনার। কিন্তু চট্টগ্রামে নেই কোনো মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, এমনকি নেই সমৃদ্ধ কোনো মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরও। অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে একাত্তরে নৃশংসতার সাক্ষ্য বহন করা বধ্যভূমিগুলো।
তবে সেই আক্ষেপ ঘোচাতে শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর কাট্টলীতে ৩০ একর খাস জায়গা চূড়ান্ত করেছে জেলা প্রশাসন। স্থানটি পরিদর্শন করে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীও।
চট্টগ্রামে স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ সংস্কৃতি কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবি। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি তাদের। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাভারের পর এটিই হবে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ, বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
Leave a reply