ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই যে বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তা থেকে পরিত্রাণ মেলেনি তাদের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করতে পেরেছে সর্বসাকুল্যে ১২৫ রান। দুই বোলার স্টার্ক ও কামিন্স দুটো ক্যামিও ইনিংস না খেললে এই রানটিও হতো না ফিঞ্চের দলের।
বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। তারপর মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনে নামা স্টিভেন স্মিথকে। অবশেষে সেই ওকসই এক হাতে আটকে দিলেন স্মিথকে। ক্রিস জর্ডানের বলে পেছনে লাফিয়ে এক হাতের দুর্দান্ত ক্যাচে স্টিভেন স্মিথকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুতেই অজি ইনিংসের ভিত্তি নড়বড়ে বানিয়ে দিয়েছেন ক্রিস ওকস। তার পরের ওভারে বল করতে এসে মারকুটে ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সয়েলকে এলবিডব্লিউ করে অজিদের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
তারপর মার্কাস স্টয়নিসকে দুর্দান্ত গুগলিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আদিল রশিদ। ২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান অ্যারন ফিঞ্চ ও ম্যাথু ওয়েড। ৩৩ বলে ৩০ রানের এই জুটি ভাঙে লিয়াম লিভিংস্টোনের পার্ট টাইম স্পিনে। তারপর অ্যাগার ২০ বলে ২০ রান করে কিছুক্ষণ চেষ্টা চালান রানের গতি বাড়ানোর। কিন্তু দলীয় ৯৮ রানে অ্যাগার এবং ১১০ রানে ফিঞ্চ ও কামিন্স সাজঘরে চলে যান। যাওয়ার আগে মাত্র ৩ বলে ১২ রান করেন কামিন্স। দলীয় ১১৯ রানে রানআউটের ফাঁদে পড়ে জাম্পা ফিরে গেলেও ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে স্টার্ক ৬ বলে ১৩ রানের লিটল ক্যামিও খেললে ১২৫ রানের পুঁজি পায় অজিরা।
Leave a reply