সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট:
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চৌরঙ্গী সিএনজি পাম্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের মারধোর ও মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয় মিতালী মার্কেটের সাধারণ সম্পাদকের পালিত সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়। এ হামলায় কর্মরত শ্রমিকদের ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পাম্পের মালিক ৯৯৯ কল দিলে সিদ্বিরগঞ্জ থানার পুলিশ এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
চৌরঙ্গী সিএনজি পাম্পের মালিক কাজী আব্দুস সাত্তার জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড প্রশস্ত করার জন্য তার সিএনজি পাম্পটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে । এতে তার কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য পাম্পটি স্হানন্তর করার জন্য পাম্পের পেছনে জমির মালিকদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ ৬৬ পয়েন্ট জমি ক্রয় করেন। সেখানে বালু ফেলে ভরাট করে নতুন করে পাম্প স্থাপনের কাজ করছিলেন।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সিদ্বিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মিতালী মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া তার পাম্প স্থাপনের কাজে বাধা দিয়ে আসছিলেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাজী ইয়াছিনের নির্দেশে মিতালী মার্কেটে একদল সন্ত্রাসী লাঠি-সোঠা লোহার রড প্রভৃতি নিয়ে পাম্প নির্মানের কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রী ও শ্রমিকদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহৃত মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। যাওয়ার সময় হামলাকারীরা নির্মান কাজের জন্য আনা পাচঁটন লোহার রড, লোহার অ্যাঙ্গেল ও ফ্ল্যাটবার লুট করে নিয়ে যায়।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, হামলাকারীরা অর্তকিতভাবে এসে কাজে ব্যস্ত শ্রমিক ও মিস্ত্রীদের মারধর করছে। এ ব্যাপারে পাম্পের মালিক কাজি আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করেন, সিদ্বিরগঞ্জ থানার ওসিকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে তিনি ৯৯৯ কল দিলে থানা পুলিশ আসে। কিন্তু ততক্ষণে সন্ত্রাসীরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে। সন্ত্রাসীরা এসে প্রথমে আমাকে খোঁজাখুজি করে এবং হাজী ইয়াছিনের সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি বলেন মূলত চাঁদার জন্যই তারা পাম্পের কাজ বন্ধ করে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিতালী মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি ও সিদ্বিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া পাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের সাথে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, চৌরঙ্গী পাম্পের মালিক গোপনে কয়েকজন ওয়ারিশের জায়গা ক্রয় করে পাম্প নির্মানের কাজ করছেন। কিন্তু জায়গাটির কিছু অংশ মিতালী মাকেটের মসজিদ নির্মানের জন্য নির্ধারিত। তাই পাম্পের মালিক কাজী আব্দুস সাত্তারকে সিদ্ধ্বিরগঞ্জ থানার ওসির মাধ্যমে মার্কেট কমিটির সাথে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি বসতে চান না। এই মার্কেট সাথে জড়িত আছে ছয় হাজার সদস্য। তাই ক্ষুব্দ হয়ে যে কেউই হামলা চালাতে পারে, কারা হামলা চালিয়েছে তা সঠিকভাবে আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে সিদ্বিরগঞ্জ থানার ওসি মসিউর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ লিখিত পাইনি। পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply