লেনদেন তথ্য সংরক্ষণ করা গেলে, ব্যবসার পরিধি জানা সম্ভব। এজন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংযোজন করা হচ্ছে ইএফডি। এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত থাকবে এই যন্ত্র, তাই বিক্রির তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাবে নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা। মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ফাঁকি রোধ করাই মূল উদ্দেশ্য। এনবিআরের তরফ থেকে এতোদিন এই যন্ত্র বিনামূল্যে দেয়া হলেও এখন থেকে ব্যবসায়ীদের নিজের কিনতে হবে হিসাব যন্ত্র ইলিকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস, ইএফডি। বিনামূল্য আর এই যন্ত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর।
কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কতোটা বাস্তবায়ন সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন টাইলস ডিলার ও আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বেলাল। তিনি বলছেন, বিনামূল্যে ইএফডি দিয়েও যেখানে ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি, সেখানে নিজ অর্থ ব্যয় করে যন্ত্র কিনে ব্যবহার নিশ্চিত করা কঠিন হবে।
যদিও ইএফডি কেনার জন্য কিস্তি সুবিধা নিশ্চিত করেছে এনবিআর। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, নিজেদের উদ্যোগে কেনার ব্যবস্থা করলেই ব্যয় সাশ্রয় সম্ভব।
২০১৯ সালে ভ্যাট আইন চালুর পর এ পর্যন্ত মাত্র সাড়ে তিন হাজারটি ইএফডি স্থাপন করতে পেরেছে এনবিআর। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ মনে করেন, এই যন্ত্র ব্যবহারে অনিহা এবং সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায়ই তৈরি হয়েছে সংকট।
তবে, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ মনে করেন রাজস্ব আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে অটোমেশনের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে দরকার সঠিক কর্মপরিকল্পনা।
এনবিআর বলছে, ইএফডি এবং এসডিসি যন্ত্র ব্যবহার না করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার।
Leave a reply