স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় একটি চায়ের দোকান থেকে হযরত আলী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃত হযরত আলীর ভাগিনা সোলায়মান বলেন, উপজেলার নাগেশ্বরী পৌরসভার পঁয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আছমত উল্লাহর ছেলে হযরত আলী (৫৫)। তিনি পেশায় ভ্রমমাণ ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী। ভ্যানগাড়ীতে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে পরিত্যক্ত জিনিস কিনে মহাজনের নিকট বিক্রি করতেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাড়ির পাশে দাদামোড়ের চৌবাড়ি এলাকায় একটি চায়ের দোকান করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ওই চায়ের দোকানের গিয়েছিলেন হযরত আলী। পরে রাত ২টার দিকে স্বজনদের মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুর কথা জানান ফিরোজা বেগম।
হযরত আলীর ভাগিনা রনি বলেন, রাত ২টায় মামী ফিরোজা বেগমের ফোন পাই। ফোনে তিনি বলেন, মামা রাত ১১টায় অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ২টার কিছুক্ষণ আগে মারা গেছে। আমরা এসে দেখি চায়ের দোকানের একটি টেবিলের ওপর পড়ে আছে মামার মরদেহ। মামার মৃত্যু আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
হযরত আলীর ভাতিজা মতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন থেকে চাচীর সাথে স্থানীয় আনিছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহ ছিল চাচার। আর এমন সন্দেহ নিয়ে প্রায় ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়তো দু’জনেই।
এই বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবিউল হাসান মরদেহ উদ্ধার করার কথা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ পোস্টমর্টেমের পর জানা যাবে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply