লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া নামের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফর্মে মাসুম ভূঁইয়া উল্লেখ করেন, ২০০৪ সালে রাজনৈতিক কারণে তিনি দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডে করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক কারণে নয়, পারিবারিক মামলায় তিনি জেল খেটেছিলেন। ওই মামলা করেছিলেন মাসুম ভূঁইয়ার বোন। এতে তিনি এক সপ্তাহ কারাগারে ছিলেন। পরে জামিন নিয়ে বের হন।
এছাড়া মনোনয়ন ফর্মে মাসুম আরও উল্লেখ করেন, ১৯৮৯ সালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এই তথ্যও সঠিক নয়। ওই সময় লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মাহাবুবুল আলম বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মহিউদ্দিন বকুল। স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া বলেন, মনোনয়ন না পেয়ে আবু তাহের এসব মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, আমি ১৯৮৯ সালে লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলাম। কিন্তু ওই সময় গ্রুপিংয়ের কারণে পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠিত হয়। আবু তাহের যাদের নাম উল্লেখ করেছেন, তারা এক গ্রুপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছিল, তা জামায়াত-শিবির তদবির করে নাম ঢুকিয়েছিল। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ তদন্ত করেছে, কিছুই প্রমাণিত হয়নি।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, ওই সময় মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন না। এটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবাই জানে। এছাড়া তার সৎবোন পারিবারিক কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সেই মামলাকে মাসুম ভূঁইয়া রাজনৈতিক মামলা হিসেবে দেখিয়েছেন দলের শীর্ষনেতাদের কাছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
Leave a reply