বগুড়ার ধুনটে চার ফুট গভীর একটি গর্ত থেকে দিন-রাত বেরুচ্ছে ধোঁয়া। এ ঘটনায় এলাকায় দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।
সরু মুখের একটি গর্ত দিয়ে এই ধোঁয়ার সাথে বেরুচ্ছে কটু গন্ধও। স্থানটির আশেপাশে জলাশয় থাকলেও গর্তের ভেতরের মাটি হাতে নিলে তাপও অনুভব হয় বেশ।
ধুনট উপজেলার শ্যামগাঁতি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় লাগোয়া একটি পথ দিয়ে হাটার সময় কয়েকদিন আগেই পায়ে তাপ অনুভব করেন স্থানীয় কিশোর-তরুণরা। কৌতুহল থেকে সেখানে ইঞ্চি চারেক মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে আসতে থাকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি।
স্থানীয়রা জানান, স্থানটির আশপাশে পুকুরপাড় আর নিচু এলাকায় শতর্বষী কয়কেটি বট-পাকুড়ের গাছ ছিলো একসময়। সরু আইলের মতো জায়গাটি পতিত থাকলেও বছর পাঁচেক ধরে এ পথে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। তবে এমন ঘটনা প্রথম ঘটলো এলাকাটিতে। দিনের বেলায় ধোঁয়া একটু কম থাকলেও সন্ধ্যার পর বাড়ে ধোঁয়ার তীব্রতা।
ঘটনাটিতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিলেও শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে অনেকের মনে। ওই জায়গায় কোনো গ্যাস বা দাহ্য পদার্থের অস্তিত্ব মেলার শঙ্কায় আছেন তারা। উদ্বেগ কাটাতে মসজিদে দোয়ারও আয়োজন করছেন কেউ কেউ।
ভৌগলিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মাটির নিচে জমে থাকা গাছ বা বিভিন্ন উদ্ভিদের অংশগুলো থেকে মিথেন গ্যাস তৈরির পর কোনো কারণে সেখানে আগুন জ্বলছে। যার তাপ অনুভব হচ্ছে মাটির উপরিভাগ থেকে আর খুঁড়লেই বের হচ্ছে ধোঁয়া।
গর্তের মুখে অগ্নিসংযোগের পরও সেখানে আগুন না জ্বলায় এই ধোঁয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত না হলেও শঙ্কিত গ্রামবাসী। তারা চান মাটি কিংবা অন্য রাসায়নিক পরীক্ষা করে সমাধান হোক এই ধোঁয়া রহস্যের।
Leave a reply