শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বাটলারের সেঞ্চুরি

|

চলতি বিশ্বকাপ প্রথম সেঞ্চুরি দেখলো বাটলারের কল্যাণে। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের পুরো ইনিংস ছিল কেবলই জস বাটলারের ব্যাটিংয়ের হাইলাইটস। শেষ বলকে গ্যালারিকে পাঠিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা বাটলারের কাঁধে চড়েই লঙ্কানদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিপর্যয়ের পরেও স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়তে পেরেছে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথমার্ধ ছিল ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দখলে। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেই জেসন রয়কে সরাসরি বোল্ড করেন গত ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান হাসারাঙ্গা। দারুণ ফর্মে থাকা জস বাটলারকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেও পারেননি তিনে নামা ডেভিড মালান। দুশ্মন্ত চামিরার পেসে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনিও। আর এক বল বিরতি দিয়ে হাসারাঙ্গার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান সাদা বলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো। ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাসারাঙ্গার গুগলির লাইন মিস করেন তিনি। এলবিডব্লিউয়ের আবেদন আম্পায়ার প্রথমে সাড়া না দিলেও লঙ্কানদের রিভিউয়ে আসে সাফল্য।

এরপর অধিনায়ক এউইন মরগ্যানকে নিয়ে বিশাল এক জুটি গড়েন বাটলার। প্রথম দিকে হাসারাঙ্গা এবং থিকশানাকে দেখেশুনেই খেলছিলেন দুজন। এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৯ ওভারে ৪৪ এবং ১০ ওভারে ৪৭। তারপর মরগ্যানকে নিয়ে ধীরে সুস্থে রান বাড়ানোর দায়িত্ব বাটলার তুলে নেন নিজ কাঁধে। করুনারত্নেকে টানা ৪ ও ৬ দিয়ে শুরু। এরপর লাহিরু কুমারার উপর দিয়েই গেছে বাটলার-ঝড়ের সবচেয়ে কঠিন ঝাঁপটা। মরগ্যানও যোগ দিয়েছেন বাটলারের সাথে আক্রমণে। দীর্ঘ সময়ের অফফর্ম কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় মরগ্যানের লড়াইটাও তাই হয়েছে নিজের সাথেও। হাসারাঙ্গা আবার আক্রমণে এসে ফিরিয়ে দিয়েছেন মরগ্যানকে।

৩ ছয় ও ১ চারে ৩৬ বলে ৪০ রান করে মরগ্যান ফিরে গেলেও বাটলারকে যেন পেয়ে বসেছিল বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির নেশা। এক পর্যায়ে শেষ ওভারে বাটলারের রান ছিল ৯৫, এবং বল বাকি ছিল ৩টি। প্রথম দুই বলে ভালো কোনো সংযোগ ঘটাতে না পারলেও চামিরার শেষ বলকে গ্যালারিতে পাঠিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ন করেন দারুণ ফর্মে থাকা জস বাটলার। ৬৭ বলে ১০১ রানের এই ঝলমলে ইনিংসে ছিল ৬টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply