টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা টানা তিন ম্যাচ জিতে শেষ চারে যাওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে। এদিকে আরও একটি লজ্জাজনক হারের মুখ দেখলো টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও হারলো বাংলাদেশ। ৬ ওভার বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে বাভুমারা। এতে এবারের আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৮৪ রানের পুঁজি নিয়ে মঙ্গলবার লড়াই করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা নিরাশ করলেও স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েই লড়াই চালায় টাইগার বোলাররা। তাসকিনের বোলিং তোপে ৩৩ রানেই ৩ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও রাসি ভ্যান ডার ডাসেনের ব্যাটে সহজেই জয়ের দিকে বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। বাভুমা ২৮ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার রাবাদা ও নর্টিয়ের বোলিং তোপে এক একে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং দল। লিটনের ধীরগতির ২৪ রান ও শেষ দিকে মেহেদির ২৫ বলে ২৭ রানের সুবাদে টেনেটুনে ৮৪ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ ভারতের কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫.৪ ওভারে ৭০ রানেই অল-আউট হয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাবাদা ও নর্টিয়ে তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়াও শামসি ২ উইকেট ও প্রিটোরিয়াস তুলে নেন একটি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন তুলে নেন রিজা হেনড্রিক্সের উইকেট। আউটসাইড অফের বল রিজার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ারও সাথে সাথে আঙ্গুল তুলে জানিয়ে দিলেন আউট।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন রাসি ভ্যান ডার ডাসেন। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ডি কক রাসিকে সাথে নিয়ে খেলছিলেন দেখেশুনেই। পাওয়ার প্লে’র পঞ্চম ওভারে বল করতে আসেন মেহেদি। তার প্রথম বলে কোনো রান না হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুই চার হাঁকান ডি কক। তবে কামব্যাক করেন মেহেদি। পঞ্চম বলে মেহেদির ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে যায় ডি কক। পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে আবারও আঘাত হানেন তাসকিন। তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মার্করাম।
পরবর্তীতে অধিনায়ক বাভুমা ও রাসির পার্টনারশিপে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় সাউথ আফ্রিকার। তবে শেষদিকে জয়ের জন্য ৪ রান বাকি থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রাসি। নাসুমের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন শরিফুল। তবে রাসি ফিরে গেলেও মিলারের বাউন্ডারিতে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ছয় ওভার তিন বল বাকি থাকতেই টাইগারদের পরাজয়ের গোলকধাঁধায় রেখেই পরের ধাপের দিকে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
Leave a reply