ভারতের কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শীর্ষ তারকা পুনীত রাজকুমার গত সপ্তাহে মারা গেছেন। অভিনেতার ইচ্ছে অনুসারে চিকিৎসকদের একটি দল তার মৃত্যুর পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে চক্ষুদান প্রক্রিয়া সম্পাদন করেন। তার দান করা চক্ষুতে চার তরুণ-তরুণী দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। খবর এই সময়ের।
খবরে বলা হয়, নারায়ণ নেত্রালয় হাসপাতালে ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভুজঙ্গ শেট্টির নেতৃত্বাধীন কর্নিয়া টিম পুনীতের জোড়া চোখ সংগ্রহ করে। শনিবারেই হয় প্রতিস্থাপন। সাধারণত এক জোড়া সুস্থ চোখ থেকে আমরা দু’জনের দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পুনীতের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা চার জনের দৃষ্টি ফেরাতে পেরেছি। রাজ্যে সম্ভবত এই প্রথম বার এক জনের মরণোত্তর চক্ষুদানে উপকৃত হলেন চার জন।’
বেঙ্গালুরুর নারায়ণ নেত্রালয় চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই দিনে চারজনের সার্জারি করা হয়। বিধি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় রোগীদের নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত্যুর আগে পুনীত তার দুই চোখ দান করে যান। পুনীত রাজকুমারের বাবা কিংবদন্তি অভিনেতা ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার পুরো পরিবার মরণোত্তর চক্ষুদান করবে।
কিংবদন্তী অভিনেতা রাজকুমারের ছেলে পুনীত রাজকুমার। ৪৬ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সব চেয়ে ধনী অভিনেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। শিশু অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন পুনীত। ১২টি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
গত ২৯ অক্টোবর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কন্নড় সুপারস্টার পুনীত রাজকুমার। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন অঙ্গন। সমাজসেবার জন্য তিনি লাখো মানুষের মন জয় করেছিলেন। সবাই তাকে ভালোবেসে আপ্পু বলে ডাকতো।
ইউএইচ/
Leave a reply