শেষ ম্যাচ জিতে কিছুটা ইতিবাচক ফলাফল সাথে নিয়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে সর্বনাশের চূড়ান্ত ঘটিয়ে অ্যাডাম জাম্পার লেগস্পিনে বিধ্বস্ত হয়ে ১৫ ওভারেই মাত্র ৭৩ রানেই অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ, যেটা আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ রানে ৭০ রানে অল আউট হয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটি গড়েছিল বাংলাদেশ।
রেকর্ড ইনিংসের শুরু থেকে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ না গড়তে পারার এই ইনিংসটি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে, বৈশ্বিক এই আসরে কতটা হতদরিদ্র বাংলাদেশের পারফরমেন্স। ব্যর্থতার দিক দিয়ে ধারাবাহিক হবার দিকে আরেকটি পদক্ষেপ নিয়ে গোল্ডেন ডাক হাঁকিয়েছেন লিটন দাস। মিচেল স্টার্কের বলে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ইনসুইং ইয়র্কারে প্লেইড অন হয়ে ফিরে গেছেন তিনি। চলতি আসরে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা, তা শেষ ম্যাচেও লিটনের ব্যাটে অব্যাহত রাখলো বাংলাদেশ। তার পরের ওভারেই জশ হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হয়ে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেন তিনে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার। তিনি করেছেন ৮ বলে ৫ রান।
দলের প্রাথমিক বিপর্যয়ে ক্রিজে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম, আর সাজঘরে ফিরেছেন তিনি বিপর্যয় বাড়িয়ে। পার্ট টাইম অফস্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ছোট্ট টার্নের কাছেই পরাস্ত হলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল! নতুন বলে জশ হ্যাজলউডের অফ স্ট্যাম্প করিডোরের ডেলিভারি বা সাপের ফনা তোলার মতো মিচেল স্টার্কের ইনসুইং ইয়র্কার না, দলের সেরা ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরাতে অজিদের লাগলো ম্যাক্সওয়েলের নিরীহ দর্শন এক অফস্পিন!
জশ হ্যাজলউডের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে দলের পক্ষে একমাত্র দুই অঙ্কের রানে পৌঁছানো মোহাম্মদ নাঈমও ফিরে গেছেন ১৭ রান করে। আর অ্যাডাম জাম্পা আক্রমণে এসেই প্রথম বলে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন আফিফ হোসেনকে। লিটনের পর স্কোরকার্ডে আরেকটি শূন্য বাড়ানো ছাড়া আফিফের অবদানও শূন্য। তারপর মেহেদী, মোস্তাফিজ ও তাসকিনের উইকেটও নেন জাম্পা। দুই অঙ্কের ঘরে নাঈমের পর পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল মাহমুদউল্লাহ ও শামীম পাটোয়ারী। ১৬, ১৭ ও ১৯ রানের ইনিংসও আজ বড় হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য! বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে জাম্পা করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং; তিনি নিয়েছেন ১৯ রানে ৫ উইকেট।
Leave a reply