৬.২ ওভার বা ৩৮ বল খেলেই বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাসকিন এবং শরিফুল ম্যাচের শেষ দিকে দুটো উইকেট না নিলে ১০ উইকেটের লজ্জাও যোগ হতো আজ। তবে ৮২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয়ে রান রেটের দিক দিয়েও যেমন এগিয়ে গেল অজিরা, তেমনি বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনও শেষ হলো সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপভাবে।
স্কোরবোর্ডে যখন থেকে মাত্র ৭৩ রান, তখন সেই রানকে ডিফেন্ড করার জন্য বোলারদের দিকে প্রকৃতপক্ষে কেউ তাকিয়ে থাকে না। তবে একপ্রান্তে যখন আগুন ঝরিয়ে যাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানকে বেধড়ক পেটাচ্ছে দুই অজি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। মোস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারেই দুই ওপেনার তুলেছেন ২১ রান। বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
তাসকিনের একের পর এক ১৪২ কিলোমিটার/ঘণ্টার আগুনে গোলায় যখন পরাস্ত হচ্ছিলেন ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার, তখন মোস্তাফিজের ওভারেই খুলে যাচ্ছিল যাবতীয় অর্গল। ব্যাটে বলের সংযোগে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে শেষে তাসকিনের ওভারেও দুটো বিশাল ছয় হাঁকিয়েছেন অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। তবে ফিঞ্চকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরেও পাঠিয়েছেন স্পিডস্টার তাসকিন। তবে ততক্ষণে ফিঞ্চ করে ফেলেছেন ২ চার ও ৪ ছয়ে ২০ বলে ৪০ রান।
এরপর ডেভিড ওয়ার্নারকেও বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম। তবে তাতে ব্যবধান কমানো আর অজিদের জয়ে খানিক সময়ের বিলব ঘটানো ছাড়া কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সম্পূর্ণ ব্যাটিং সারফেসে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর গড়ার পর মাত্র ৩৮ বলের মধ্যেই ম্যাচ হেরে সর্বনাশের ষোলকলাই যেন পুর্ণ করলো বাংলাদেশ।
Leave a reply