রাজধানীজুড়ে অবৈধ পার্কিং বসিয়ে চাঁদাবাজি

|

দিন কিংবা রাত, সবসময়ই অবৈধভাবে রাস্তায় পার্কিং করা থাকছে গাড়ি। পুরো রাজধানীরই সাধারণ চিত্র এটি। বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা এসব অবৈধ পার্কিং ঘিরে চলে চাঁদাবাজি। বারবার উদ্যোগ নেয়া হলেও সমাধানের দেখা মেলেনি কখনও। তবে সিটি করপোরেশন বলছে, অবৈধ সব পার্কিং বন্ধে অচিরেই নেয়া হবে কঠোর উদ্যোগ।

রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশের রাস্তায় দিনের বেলায়ই পিকআপ, সিএনজি আর প্রাইভেট কারে ঠাসা থাকে রাস্তার প্রায় পুরোটা। রাতে এ সংখ্যা বেড়ে হয় কয়েকগুণ। যার ফলে এই এলাকা দিয়ে স্বাভাবিক চলাফেরায় অসুবিধা হয় আশেপাশের মানুষের। শুধু দিনেই নয়, রাতের বেলা বিভিন্ন সড়কে পার্কিং করার প্রবণতা বাড়ে। নর্থ সাউথ রোড, তেজগাঁও, আজিমপুর ও মিরপুর ১৪ নম্বরসহ বিভিন্ন রাস্তার প্রায় অর্ধেকটাই ঠাসা থাকে গাড়িতে।

অবৈধভাবে রাখা এসব গাড়ি থেকে আবার আদায় করা হয় মোটা অংকের চাঁদা। জানা গেছে, শুধু কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের স্ট্যান্ডটি থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

আদায় করা টাকা ধাপে ধাপে চলে যায় স্থানীয় প্রভাবশালী আর প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে। অভিযুক্ত হাসমত নামের একজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁদা আদায়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা এড়িয়ে যেতে পারেননি। বললেন, রাজনীতি করেন তাই বিভিন্ন জনের ব্যাপার দেখতে হয়।

দীর্ঘদিন ধরে থাকা কুড়িলের অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে ব্যর্থতার দায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর চাপাচ্ছেন স্থানীয় ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসহাক মিয়া। যদিও কাউন্সিলরের বক্তব্য মানতে নারাজ কুড়িলের ট্রাফিক পরিদর্শক। তবে রাজধানীর যানজট নিরসনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব পার্কিং বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যদিও এমন আশ্বাস বহুদিন ধরেই শুনে যাচ্ছে নগরবাসী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply