এখন এমন এক সময় চলছে যখন ফ্যান চালানো আর ফ্যান অফ রাখা নিয়ে হয় মনকষাকষি। না শীত না গরম। নভেম্বরের শুরুতেও এই বছর যেন তেমনভাবে শীতের দেখা নেই। কোনওদিন একটু উত্তরে হাওয়ায় গা শিরশির করলেও পরের দিন আবার সেই গরম।
এইরকম আবহাওয়ায় সর্দি, জ্বর-সহ বিভিন্ন অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সুস্থ থাকতে গেলে মেনে চলতে হবে কয়েকটা বিষয়। আসুন জেনে নেয়া যাক এই আবহাওয়াতেও যেভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন।
প্রতিদিন সকালে উঠে নিয়ম মাফিক শরীরচর্চা করুন। সেটা মর্নিং ওয়াক হতে পারে বা বাড়ির কোনও খোলা জায়গায় যোগব্যায়াম। তবে দুটোর ক্ষেত্রেই মনে রাখতে হবে ভোরবেলা কিন্তু আবহাওয়া কিছুটা হলেও ঠান্ডা থাকে, তাই মোটা জামা, টুপি ইত্যাদি যেন বাদ না যায়।
শরীরচর্চার সাথে সাথেই দিনের শুরু থেকেই হোক সুষম খাদ্যাভ্যাস। সকালটা শুরু হোক তুলসিপাতা, অঙ্কুরিত ছোলা বা মুগের সাথে দুই থেকে চারটি কাঠ বাদাম দিয়ে। এর সাথে অবশ্যই রাখুন কাঁচা হলুদ ও এক চামচ ত্রিফলার (আমলকি, হরিতকি ও বহেরা) রস, এই দুটিই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে (antioxidant) ঠাসা।
শরীরচর্চার আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে করে নিন ব্রেকফাস্ট। সকালে দুধ চা এড়িয়েই চলুন। হোল গ্রেন সিরিয়ালসের (রুটি, ওটস, ডালিয়া) সাথে থাকুক যে কোনও প্রোটিন উপাদান – দুধ, ডিম বা ছানা এবং সাথে অবশ্যই সবজি বা সালাদ।
প্রতিদিন ডায়েটে একটি করে মওশুমি ফল রাখুন। মনে রাখবেন দূর থেকে দামী ফল আনানোর কোনও দরকার নেই, আপনার বাড়ির কাছে যে ফল টাটকা অবস্থায় পাওয়া যায় তার পুষ্টিগুণ সর্বাধিক।
একটি করে আমলকি যদি প্রতিদিন ডায়েটে রাখা যায়, তাহলে ধারেকাছে আসবে না রোগব্যাধি। তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ইমিউনিটি ভালো রেখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শীতকাল মানেই সবজির সমারোহ, তাই প্রচুর পরিমাণে সবজি ও সালাদ দিয়ে প্লেটকে করে তুলুন রঙিন। তবে অবশ্যই বাজার থেকে এনে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
শীতকালে ভাত খাওয়ার পর হালকা ঘুমের অভ্যাস অনেকেরই আছে। এটা করা যাবে না। কারণ ভাতঘুম শুধুই আলস্য আনে দৈনিন্দিন রুটিনে।
যত্ন নিন ত্বক ও চুলের। এই সময় শুষ্কতা সারাক্ষণের সঙ্গী। তাই ব্যবহার করুন উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার।
প্রচুর পানি পান করুন সারাদিনে। প্রায় তিন থেকে চার লিটার পানি খেতে পারেন। যা আপনার শরীরকে আর্দ্রতা প্রদান করবে।
এই কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখলেই শীত কোনওভাবেই আপনাকে কাবু করতে পারবে না।
Leave a reply